জনস্রোতে ভেস্তে গেল নিরাপত্তা

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসায় ফেরার পথে খালেদা জিয়ার গাড়ির বহর। ছবি: ফোকাস বাংলা

বিমানবন্দর থেকে গুলশান, পথের দু’পাশে জনতার স্রোত। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের এ পথটুকু পাড়ি দিতেই সময় লেগেছে দুই ঘণ্টা।

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে মঙ্গলবার ভোর থেকেই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশেপাশের এলাকা জনাকীর্ণ। বিএনপি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এই পথটি ফাঁকা রাখার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হয়। কিন্তু সব নির্দেশনা ব্যর্থ হয়ে যায় খালেদা জিয়া ফেরার পর। রাস্তায় রীতিমতো যানজট তৈরি হয়। খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হয় সকলকে।

উৎসুক মানুষের চাপে এক পর্যায়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বনানী মুখ বন্ধ হয়ে যায়। মূল সড়কে চলতে না পেরে পুলিশের নির্দেশনায় দুপুর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথমবারের মতো চলেছে সিএনজি থ্রি হুইলার ও মোটরসাইকেল।

বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর চাপ সামাল দিতে না পেরে একপর্যায়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা লাঠিচার্জ করে। দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানিয়ে ফেরার পথে দুপুরে উত্তরার জসিম উদ্দিন রোডে দুর্ঘটনায় পড়েন এক যুবক, তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিমানবন্দরের সামনে ও সড়কে থাকা লোকজনের মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তির মোবাইল ফোন খোয়া গেছে বলে জানা গেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের দেশে ফেরার সময় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন পর্যন্ত
এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর একাধিক টিম মোতায়েন ছিল। সব মিলে এ দিনে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটা ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ।

খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত প্রতিটি পয়েন্টে ছিলো সেনা ও পুলিশের সরব উপস্থিতি। পুরো পথে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর ঘিরে সর্তক অবস্থানে ছিল তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী।

চারমাস পর লন্ডন থেকে দেশে ফেরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে দেখে  নেতাকর্মীরা ছিলেন আবেগ আপ্লুত। তাদের অনেকে নিরাপত্তা বাঁধা উপেক্ষা করে চেয়ারপারসনের গাড়ি ছুঁয়ে দেখেন, সেলফি তোলেন।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *