সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নই সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিভাগীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘শুধু নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়, মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণ যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সে পরিবেশ তৈরি করাই সবার দায়িত্ব।’
তিনি জানান, এবারের নির্বাচনে পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), আনসার, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। ভোটকেন্দ্রে আনসারের উপস্থিতি বাড়ানো হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘ঘটনাটি “দুর্ভাগ্যজনক” এবং সরকার তদন্ত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুন পুলিশ নিয়োগ দিচ্ছি। নতুন প্রায় চার হাজারের বেশি প্রশিক্ষণ শেষ করেছে, একটি ব্যাচ প্রশিক্ষণে আছে এবং আরেকটি ব্যাচ দ্রুতই প্রশিক্ষণে যাচ্ছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ও বিপ্লব কুমার সরকারসহ যেসব পুলিশ কর্মকর্তা অনুপস্থিত আছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিয়োগ ও পদায়ন প্রক্রিয়া এখন অনেক স্বচ্ছ। তাই সবাইকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
একই সঙ্গে তিনি মাদককে দেশের নিরাপত্তার বড় হুমকি উল্লেখ করে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করার নির্দেশ দেন।
থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করছেন, এ ক্ষেত্রেও সাহায্য করুন।’
সিলেটের সাদাপাথরে লুট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খনিজ সম্পদ অধিদপ্তর ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি বিষয়টি দেখছে।’ দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
পরিবেশ রক্ষায় পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, ‘শিক্ষকরা যোগ্য; আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধান সম্ভব।’