অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা মামলায় সিএমএম আদালতের পর এবার মহানগর দায়রা জজ আদালতেও জামিন মেলেনি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের।
বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
এদিন হাবিবুল আউয়ালের পক্ষের আইনজীবী তাপস চন্দ্র দাস তার জামিন আবেদন করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি নামঞ্জুর করে।
এর আগে, গত ২৫ জুন রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরদিন তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিএমএম আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
দশম থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করা তিন সিইসি যথাক্রমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে গত ২২ জুন শেরেবাংলানগর থানায় মামলা করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান।
পরে ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণামূলক বিশ্বাস ভঙ্গের ধারা যুক্ত করা হয়।
২০২২ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে দেশব্যাপী সিটি করপোরেশন, ইউপি নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়।
তবে দায়িত্ব পালনের সময় তার নেতৃত্বাধীন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়ে। জনরোষে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পর ২০২৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কমিশনের অন্য সদস্যদের সঙ্গে একযোগে পদত্যাগ করেন হাবিবুল আউয়াল।