অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন’। সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকায় দিনব্যাপী গণসংযোগ, পথসভা ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।
সংগঠনটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে শুরু হয়ে উত্তরায় শেষ হয় এই গণসংযোগ কর্মসূচি। পথে জাতীয় প্রেস ক্লাব, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর ও রাজলক্ষ্মীতে ছয়টি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাগুলোতে নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী ও মানবাধিকারকর্মী জাকির হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ছাড়া পাহাড়ে শান্তি ফিরবে না। জাসদের নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘সংলাপ ছাড়া আস্থা ফেরানো সম্ভব নয়। ভিন্ন ভাষাভাষির জাতিগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার পূর্ণ হবে না।’ সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন।
বাসদের বজলুল রশীদ ফিরোজ অভিযোগ করে বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি নেই।’ দৈনিক সমকালের আবু সাঈদ খান বলেন, ‘বাংলাদেশ কেবল বাঙালির নয়, বহুজাতিক রাষ্ট্রের চেতনায় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন জরুরি।’
ছাত্র ইউনিয়ন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ বিভিন্ন ছাত্র ও নাগরিক সংগঠনের নেতারাও কর্মসূচিতে সংহতি জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধানে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জনসংহতি সমিতির বরাবরের অভিযোগ, চুক্তির তিন দশকেও ভূমি কমিশন কার্যকর করাসহ চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের উদ্যোগে এর আগেও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন নগরে পথসভা ও প্রচারপত্র বিলির অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।