তিন দফা দাবিতে শাহবাগ থেকে পদযাত্রা করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার পথে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেওয়া চাকরিচ্যুত সাবেক বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে পুলিশ।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে যমুনা ঘেরাও কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনরত সাবেক বিডিআর সদস্যরা। দুপুর ১২টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশ তাদের আটকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করে। কিন্তু সাড়া না পেয়ে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জলকামানের পানি ছোড়ে এবং অন্তত ৬টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ আন্দোলনকারীদের কয়েকজন আহত হন। এছাড়া কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করতেও দেখা যায়। পরে পুলিশ ধীরে ধীরে আন্দোলনকারীদের মৎস্য ভবনের দিকে সরিয়ে নেয়।
আন্দোলনকারীদের একজন অভিযোগ করেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে শেখ হাসিনা ভারতের সৈনিক দিয়ে। আর দোষ চাপানো হয়েছে নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের ওপর। আমরা আমাদের দাবিতে অনড়, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আতিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও আশপাশের এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যমুনার দিকে পদযাত্রা করায় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- তাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে পুনর্বহাল, পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের কিছু ধারা বাতিল, এবং কারাগারে বন্দি থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি ও বাহিনীর পূর্বের নাম “বিডিআর” পুনর্বহাল করা।