পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রামের আনোয়ারার ডিএপি সার কারখানার কর্মচারীরা। বুধবার সকাল থেকে রাঙাদিয়ায় কারখানার প্রধান গেটে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ শেষে শিল্প উপদেষ্টা, সচিব ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
শ্রমিকদের দাবিগুলো–পে-কমিশনভুক্ত কর্মচারীদের ন্যায় মজুরি কমিশনভুক্ত শ্রমিকদের ৫ শতাংশ প্রণোদনা ও ১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা বকেয়াসহ দ্রুত বাস্তবায়ন, নিরবচ্ছিন্ন কারখানা সচল রাখার স্বার্থে কাঁচামাল সরবরাহ নিশ্চিত করা, পদোন্নতি প্রতি তিন বছর অন্তর বহাল রাখা, পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা দ্রুত নিরসন, বিসিআইসির প্রধান কার্যালয়ের মতো কারখানার শ্রমিকদেরও পেনশনের আওতায় আনা এবং পে-কমিশনের আওতাভুক্ত কর্মচারীদের ঝুঁকি ও নৈশ ভাতা প্রদান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ এবং সঞ্চালনা করেন ডিএপিএফসিএল শাখা শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি মেহেদী হাসান।
এ সময় বক্তব্য দেন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল আজিম সবুজ, মো. মুছা, মো. ফিরোজ আলম, জাহেদুল আলম, জহুরুল ইসলাম, মো. মাসুম বাবুল, রেজাউর রহমান, সজীব সেখ ও নাজমুল আশরাফ রাফী প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বৈষম্য দূর করার প্রত্যাশায় স্বৈরাচার সরকার পতন হলেও বাস্তবে বৈষম্য রয়ে গেছে। ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানান তারা।
ডিএপিএফসিএল-এর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও বিভাগীয় প্রধান (প্রশাসন) আলমগীর জলিল জানিয়েছেন, কমিশন বৈষম্য নিরসনসহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করেছেন। পরে আমাদের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন, যা আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।