জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রামে বুধবার বিকাল ৫টায় জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশজুড়ে যে অনুষ্ঠানসূচি নেওয়া হয়েছে, চট্টগ্রামের আয়োজন তারই অংশ।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এতে ব্যান্ডদল ‘শিরোনামহীন’, ‘বে অব বেঙ্গল’ এবং পাহাড়ি ব্যান্ড ‘চিম্বুক’, রক ব্যান্ড ‘সোনার বাংলা সার্কাস’ লাইভ কনসার্ট করবে।
এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে ‘আওয়াজ উডা’ গানে আন্দোলনকে সাহস জোগানো র্যাপার হান্নান ছাড়াও এলিটা করিম, পারশা মাহজাবিনসহ আরও বেশ কয়েকজন শিল্পী থাকবেন তাদের নিজস্ব পরিবেশনা নিয়ে।
জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগের গল্প ফুটে উঠবে ‘জুলাই বীরগাথা’, ‘জুলাই বিষাদ সিন্ধু’ এবং ‘দীপক কুমার গোস্বামী স্পিকিং’-এর মতো ভিজ্যুয়াল আর্ট এবং শর্টফিল্মে।
এছাড়া অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে, ‘আলোর ছোঁয়ায় দেখাবে আন্দোলনের গল্প’ শিরোনামে থাকছে বিশেষ ড্রোন শো।
এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার স্বার্থে স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে অস্ত্র-লাঠি বহনে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
গত বছরে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে পরদিন দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এদিন আবারও দেশব্যাপী বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। পাশাপাশি পুলিশও সেদিন ছিল মারমুখী অবস্থানে। এদিনেই রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ।
এদিনে চট্টগ্রামেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে তিনজন শহীদ হন, যাদের মধ্যে দুইজন শিক্ষার্থী। নিহতরা হলেন— চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতা ওয়াসিম আকরাম (২৪), ওমরগণি এমইএস কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ (২৪) এবং একটি ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী মো. ফারুক (৩২)। এরপরই স্বৈরাচার পতনের দাবিতে আন্দোলন আরো বেগবান হয়।