চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসের শোভাযাত্রায় পদদলিত হয়ে অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলী (৬০) ও নগরের কালামিয়া বাজার এলাকার সাইফুল ইসলাম (১৩)।
জানা গেছে, মুরাদপুরে জশনে জুলুসের জনতার চাপে ব্রিজ ভেঙে খালে পড়ে যায়। সেখানে পদদলিত হয়ে আহত কয়েকজনকে নেওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। আহতদের একজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা মুরাদপুর চত্বর পার হচ্ছিল। মানুষের ভিড়ে অনেকে রাস্তার পাশে থাকা নালার উপরে ব্রিজে অবস্থান নেন। সাড়ে ১২টার দিকে লোহার ব্রিজটি ভেঙে যায়। ব্রিজটিতে অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ ছিলেন।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন দ্য টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে দুইজন মারা গেছেন। একজন আইসিইউতে আছেন। আরও পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে।’
সবশেষ, আহত ১৩ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, সকাল ৮টায় নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা। এতে নগর ও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন।
চট্টগ্রামে ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় এই ৫৪তম বিশাল জশনে জুলুস। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার সারা রাতই জেলা শহরের সড়কগুলো সরব ছিল মানুষের আনাগোনায়। সড়কের দুই পাশ সাজানো হয় পতাকা, ব্যানার আর ফেস্টুনে।
এদিন ভোর থেকেই নানা প্রান্ত থেকে আয়োজনের স্থানে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনে ছুটে আসেন হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলমান। বেলা বাড়তেই চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এর আগে রাতেই সেখানে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম নগরীতে এ জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) এর প্রবর্তন করেন।