মধ্যরাতে উবার চালককে মারধর করার জেরে শনিবার মধ্যরাতে কণ্ঠশিল্পী নোবেলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল এর আগে নারী নির্যাতনসহ নানা অঘটনের জন্ম দেন। একাধিকবার আটকের পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
শনিবার মধ্যরাতে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রে নোবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমান।
তিনি জানান, ভিকটিম উবার চালক আকবর হোসেন মামলা করতে রাজি হননি। এ অবস্থায় মুচলেকা নিয়ে নোবেলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে কল্যাণপুর এলাকায় নোবেল এক উবার চালককে মারপিট করেন। তখন তিনি মাতলামি করছিলেন এবং বিভিন্নজনকে মারতে উদ্যত হন বলে জানা যায়। এ সময় তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ সঙ্গে ছিলেন, তিনিও নোবেলকে সামলাতে ব্যর্থ হন।
ঘটনার ব্যাপারে উবার চালক আকবর হোসেন জানান, নোবেল উবার অ্যাপের মাধ্যমে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করেন। তার গন্তব্যস্থল ছিল হাবুলের পুকুরপাড়। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী। গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পরও নোবেল গাড়ি থেকে নামতে চাননি। এসময় তিনি উদ্ভট কথাবার্তা ও গালাগালি করতে থাকেন।
একপর্যায়ে নোবেল উত্তেজিত হয়ে ড্রাইভার আকবর হোসেনকে মারধর করেন। তখন উৎসুক জনতা গাড়ির আশেপাশে জড়ো হন। নোবেলের মাতলামি ও মারপিট দেখে বিক্ষুদ্ধ জনতা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে মিরপুর থানা পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে নিয়ে যায়।
উবার চালককেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার ব্যাপারে চালক আকবর মামলা না করায় সকালে মুচলেকার মাধ্যমে পুলিশ নোবেলকে ছেড়ে দেয়।
এর আগে গত ১৯ মে রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে গায়ক নোবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক এক শিক্ষার্থীকে বাসাবাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে তখন ডেমরা থানায় মামলা হয়।
এ মামলাতে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় নোবেল বিয়ে করেন মামলার বাদীকে, পরে এ নববধূঁর জিম্মাতেই জামিন দেওয়া হয় নোবেলকে। ২৪ জুন কারাগার থেকে মুক্তি পান নোবেল।