গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক’ করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার হোয়াইট হাউসে ওই বিশেষ বৈঠকে ট্রাম্প নিজেই নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
স্থানীয় মঙ্গলবার ফক্স নিউজের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘গাজার জন্য “পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা” আলোচনা করতে আমাদের হোয়াইট হাউসে একটি বড় বৈঠক হতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন এবং আমরা খুবই বিস্তৃত পরিকল্পনা তৈরি করছি।’
একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সেক্রেটারি মার্কো রুবিও ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও পূর্ণমাত্রার স্থল অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৪ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
এর আগে গাজা সিটি পূর্ণ দখলে নিতে সোমবার নগরীর আল নাসের হাসপাতালে দুই দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), আল জাজিরা, মিডল ইস্ট আইয়ের পাঁচ সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন নিহত হন।

হাসপাতাল থেকে ‘সরাসরি সপ্রচার’ চলাকালে ওই হামলায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। হামলার বিষয়ে জবাবদিহি চেয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে যৌথ চিঠি দিয়েছে রয়টার্স ও এপির সম্পাদকরা।
নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
এদিকে গাজায় ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনকে ‘যৌক্তিক সমর্থন’ দিয়েছেন ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দূত জ্যাকব লিউ। দ্য নিউ ইয়র্কারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘গাজার শিশুরা হামাস সদস্যদের সন্তান। তাদের লক্ষ্যবস্তু করা ইসরায়েলের জন্য বৈধ।’
গাজায় সাংবাদিক নিহতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাধারণত এসব ঘটনার তাৎক্ষণিক বিবরণগুলো ভুলে ভরা থাকে। ইসরায়েলি সরকার বিশ্বের সামনে প্রমাণ উপস্থাপন করলেই এটি পরিষ্কার হয়ে যাবে যাদের হত্যা করা হয়েছে তারা ইসরায়েলের ধ্বংস চায়।’
‘হাসপাতালে হামলা বৈধ, কারণ হামাস সদস্যরা সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সেটিকে ঢাল হিসেবে ব্যভার করছেন’, এমন দাবি করেন লিউ।