গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল গাজা সিটিতে সামরিক অভিযান বাড়াচ্ছে, যা ভয়াবহ প্রাণহানি ও ধ্বংস ডেকে আনতে পারে।’
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, গাজা সিটি দখলে বুধবার থেকে পূর্ণমাত্রার অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। বিমান হামলার পাশপাশি স্থল অভিযানে একদিনেই প্রাণ হারিয়েছে ৮১ ফিলিস্তিনি। অবরুদ্ধ গাজায় খাবারের অভাবে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত তিনজন।
এমন পরিস্থিতিতে গাজা সিটি দখল ও পশ্চিম তীরে ‘অবৈধ স্থাপনা’ গড়া থেকে বিরত থাকতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। সেইসঙ্গে গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় গুতেরেস বলেন, ‘গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সকল জিম্মিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
‘পশ্চিম তীরের বিতর্কিত “ই-ওয়ান সেটেলমেন্ট প্রকল্প” ইসরায়েল সরকারের একটি “অবৈধ পরিকল্পনা” যা পশ্চিম তীরকে বিভক্ত করে দেবে’, যোগ করেন তিনি।

এদিকে দ্য অ্যাটলান্টিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি স্থাপনা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নেতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থা।
আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেই ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টা।
এর আগে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
আরও পাঁচ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দিলেও ইসরায়েল হত্যা না থামালে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় তেমন পরিবর্তন আসবে না। তবুও গাজা সিটি দখলে ইসরায়েলের চলমান অভিযানের বিরোধিতায় এই সিদ্ধান্তকে একটি বড় ও গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।