প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম খুলনা প্রেসক্লাবে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি প্রেসক্লাবে যান। সেখানে ক্লাবের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনসহ অবকাঠামো ঘুরে দেখনে তিনি।
বিকাল ৫টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ছাত্র-জনতা প্রেসক্লাবের সমবেত হন। বিক্ষুদ্ধরা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণের দাবি জানান। আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবের সামনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের গাড়ি বহরের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে রাখেন। এ সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।
এ সময় শফিকুল আলমসহ বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রেসক্লাবের মধ্যে আটকা পড়েন। বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রেস ক্লাব চত্বরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলে।
পরে প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শফিকুল আলম। তিনি ছাত্র নেতৃবৃন্দকে বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের অপসারণের দাবির বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত নিরসন হবে। পরে তিনি দ্রুত প্রেসক্লাব ত্যাগ করেন।
এদিকে, শফিকুল আলম প্রেসক্লাব থেকে চলে আসার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববারের মধ্যে কেএমপি কমিশনারকে অপসারণ করা না হলে আবারও আন্দোলনে মাঠে নামার হুমকি দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
শনিবার বিকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হকসহ গণমাধ্যমকর্মীরা এ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।