রাজধানীর গুলশানে অবৈধ সিসা বার পরিচালনার অভিযোগে ‘ক্যাসিনোকাণ্ডের’ আলোচিত ব্যক্তি সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার আল আমিন হোসাইন জানান, শনিবার ভোরে বারিধারা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে তার বার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ‘অবৈধভাবে সিসা বার পরিচালনার’ অভিযোগ রয়েছে।
তবে, গ্রেপ্তার অপর আসামিদের নাম জানাতে পারেননি তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, সেলিম প্রধান ‘প্রধান গ্রুপ’ নামে একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের চেয়ারম্যান। তার নেতৃত্বাধীন এই গ্রুপের অধীনে ‘পি-২৪ গেইমিং’ নামে একটি কোম্পানি রয়েছে, যা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্যাসিনো এবং অনলাইন ক্যাসিনোর ব্যবসা পরিচালনা করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। সে সময় র্যাব তার গুলশান-বনানী এলাকার বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ এবং বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করে।
ওই অভিযানে সেলিমের বাসায় দুটি হরিণের চামড়া পাওয়ার পর তাকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত দ্বারা ছয় মাসের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এবং মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে র্যাবে দুটি মামলা এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থ পাচারের’ মামলায় সেলিম প্রধান আট বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।
চার বছর কারাগারে থাকার পর ২০২৩ সালের অক্টোবরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। সে বছরই বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি-বিআরপির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সেলিম। কয়েক মাস পর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু ফৌজদারি মামলা থাকায় শেষ পর্যন্ত তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।