কুয়েটে অনশনকারীরা ১ দফায় অনড়, উপদেষ্টার প্রস্তাব প্রত্যাখান

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
কুয়েট ক্যাম্পাসে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন উপদেষ্টা সি আর আবরার। ছবি: ইউএনবি
Highlights
  • উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, 'এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে। আমি শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা তাৎক্ষণিক ঘোষণা না পেলে অনশন ভাঙবেন না বলেই জানিয়েছেন। আইন মেনে সমাধান হবে—এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।'

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান আমরণ অনশন চতুর্থ দিনে পৌঁছেছে। এদিকে, অনশনকারীদের সাথে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার সাক্ষাৎ করলেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে জানা গেছে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টায় কুয়েট ক্যাম্পাসে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন উপদেষ্টা সি আর আবরার। প্রায় আধঘণ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। শিক্ষার্থীরা অনড় অবস্থানে থেকে জানিয়ে দেন, এক দফা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন তারা।

পরে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে। আমি শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা তাৎক্ষণিক ঘোষণা না পেলে অনশন ভাঙবেন না বলেই জানিয়েছেন। আইন মেনে সমাধান হবে—এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’

উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসুস্থ কয়েকজনকে অন্তত পানি খাওয়ার অনুরোধ করলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরই মধ্যে বৈশাখের প্রখর রোদ ও গরমে অনশনকারী পাঁচ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। অনেকে দুর্বলতা ও রক্তচাপ কমে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার চত্বরে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসেন। শুরুতে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করলেও শিক্ষার্থীরা এখন এক দফার আন্দোলন করছেন।

আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকাতেও বিক্ষোভ হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। তারা বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে দেশজুড়ে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছেন।

এছাড়া খুলনার বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বেশ কিছু সংগঠন প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কুয়েট ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, প্রধান ফটকে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

এর আগে ১৪ এপ্রিল কুয়েটের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ও বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুরু হয় আন্দোলন, যার সূত্রপাত ঘটে ফেব্রুয়ারির ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ও সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *