বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কালশি হত্যার বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। মঙ্গলবার রাজধানীর পল্লবীতে কালশি হত্যায় বিচারহীনতার প্রতিবাদে এবং সাবেক ‘ফ্যাসিস্ট’ এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা ও যুবলীগ নেতা জুয়েল রানার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।
আমিনুল হক বলেন, ‘ইতিহাসের এই নৃশ্যংসতম গণহত্যার সাথে জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। বিহারী নেতাদের নামে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছিল। স্বৈরাচার পালানোর পরও ভূমিদস্যুরা একের পর এক মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। এসব মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য বিএনপি কাজ করছে।’
উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন কালশি ট্রাজেডিতে ‘ফ্যাসিস্টদের’ দেওয়া আগুনে স্বজন হারানো কিশোরী ফারজানা। তার পড়াশোনাসহ সকল দায়িত্ব গ্রহণ করার ঘোষণা দেন আমিনুল হক।
উর্দুভাষীদের সংগঠন ইউএসপিওয়াইআরএম এর সভাপতি সাদাকাত খান ফাক্কু বলেন, ‘২০১৪ সালের ১৪ জুন আমাদের ক্যাম্পের একটি বাড়িতে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন দেয়া হয়। সেই আগুনে পুড়ে ফারজানার পুরো পরিবার মারা যায়। ফারজানার শরীরও ৬০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক ছিল। এই ঘটনার বিচার চাইতে গেলে তার বাবা ইয়াসিনকেও হত্যা করা হয়। আগুনে পুড়তে থাকা মানুষদের বাঁচাতে এসে আজাদ নামের এক যুবক পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
উর্দুভাষী যুব-ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মন্টু,বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুদ্র মিজান, পল্লবী থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোকছেদুর রহমান আবির, আনিছুর রহমান এবং পল্লবী থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ হাসান সোহেল।