কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্য, নিয়োগ অনিয়ম ও কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে রাজপথে নেমেছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ বৈঠক করে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। তবে সেই বৈঠকে সন্তুষ্ট না হয়ে রাত ১১টার দিকে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকাসহ সারাদেশে মশাল মিছিলও করেন তারা।
বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের’ নেতা মাশফিক ইসলাম বলেন, ‘সভায় শিক্ষা উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন না, সচিব ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। অতিরিক্ত সচিব আলোচনা করলেও তার পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে বহু সিদ্ধান্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি। কুমিল্লায় আমাদের ভাইদের উপর হামলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর কোনো কিছু নিয়েই আমরা সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত পাইনি। তাই সভা ফলপ্রসু হয়নি, উপদেষ্টা মহোদয় উপস্থিত থাকলে হয়তো ভালো হতো।’
বুধবারও (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাত রাস্তা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এ দিন কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাই কোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করাসহ বিভিন্ন বিষয়। বুধবারের কর্মসূচিতে বাধা দেয়া ও লাঠিচার্জের বিচারও যোগ হয়েছে ৬ দফা দাবির সঙ্গে।