কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৮তম আসরে নির্বাচিত হয়েছে ১৯টি ছবি। এরমধ্যে একটি চলচ্চিত্র পাবে সেরা পুরস্কার ‘স্বর্ণপাম’। উৎসবে জমা পড়েছে রেকর্ড, মোট দু’হাজার ৯০৯টি চলচ্চিত্র। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রধান বিচারক থাকছেন ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েট বিনোশ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় এসব তথ্য। সাংবাদিকদের কাছে আসরের নানা দিক তুলে ধরেন কান উৎসবের পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমোঁ ও উৎসবের সভাপতি ইরিস নোব্লোক।
মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত ছয়টি ছবি নিয়ে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক দর্শক-আগ্রহ। কারণ এগুলো পরিচালনা করেছেন নারীরা।
এগুলো হলো– ফ্রান্সের জুলিয়া দুকুরনো পরিচালিত ‘আলফা’, হাফসিয়া হার্জি পরিচালিত ‘দ্য লাস্ট ওয়ান’, জাপানের চিয়ে হায়াকাওয়া পরিচালিত ‘রেনোয়াঁ’, জার্মানির মাশা শিলিনস্কি পরিচালিত ‘সাউন্ড অব ফলিং’, যুক্তরাষ্ট্রের কেলি রাইকার্ড পরিচালিত ‘দ্য মাস্টারমাইন্ড’ ও স্পেনের কার্লা সিমন পরিচালিত ‘রোমেরিয়া’।
ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগর পাড়ে ‘পালে দে ফেস্টিভ্যাল’ ভবনের ‘গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়ের’-এ জমকালো উৎসবের পর্দা উঠবে ১৩ মে।
এর সঞ্চালক থাকছেন ফরাসি অভিনেতা লহোঁ লাফিত। উদ্বোধনী আয়োজনে ‘স্বর্ণপাম’ দিয়ে সম্মানিত করা হবে আমেরিকান অভিনেতা রবার্ট ডি নিরোকে।
উৎসবের উদ্বোধনে পরিবেশিত হবে ফরাসি পরিচালক এমেলি বোনাঁ’র প্রথম চলচ্চিত্র ‘বাই বাই’। বলা ভালো, এ ছবি আসরের প্রতিযোগিতায় থাকছে না।
টানা ১২ দিন লাখো দর্শক মাতিয়ে উৎসব চলবে ২৪ মে পর্যন্ত।

মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত চলচ্চিত্রের তালিকা
- আলফা (জুলিয়া দুকুরনো, ফ্রান্স)
- দ্য লাস্ট ওয়ান (হাফসিয়া হার্জি, ফ্রান্স)
- দসিয়ার ১৩৭ (দমিনিক মল, ফ্রান্স)
- দ্য মাস্টারমাইন্ড (কেলি রাইকার্ড, যুক্তরাষ্ট্র)
- ন্যুভেল ভ্যাগে (রিচার্ড লিঙ্কলেটার, যুক্তরাষ্ট্র)
- দ্য ফিনিসিয়ান স্কিম (ওয়েস অ্যান্ডারসন, যুক্তরাষ্ট্র)
- এডিংটন (অ্যারি অ্যাস্টার, যুক্তরাষ্ট্র)
- রোমেরিয়া (কার্লা সিমন, স্পেন)
- সিরাট (অলিভার লুক্সে, স্পেন)
- ইন সিম্পল অ্যাক্সিডেন্ট (জাফর পানাহি, ইরান)
- রেনোয়াঁ (চিয়ে হায়াকাওয়া, জাপান)
- সাউন্ড অব ফলিং (মাশা শিলিনস্কি, জার্মানি)
- সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু (ইওয়াকিম ত্রিয়ার, নরওয়ে/ডেনমার্ক)
- দ্য ঈগলস অব দ্য রিপাবলিক (তারিক সালেহ, সুইডেন)
- ফুয়োরি (মারিও মার্তোনে, ইতালি)
- দ্য সিক্রেট এজেন্ট (ক্লেবার মেনদোঙ্কা ফিলো, ব্রাজিল)
- দ্য হিস্ট্রি অব সাউন্ড (অলিভার হারমেনাস, দক্ষিণ আফ্রিকা)
- দ্য ইয়াং মাদার’স হোম (জ্যঁ-পিয়ের ও লুক দারদেন, বেলজিয়াম)
- টু প্রসিকিউটরস (সার্জেই লজনিৎজা, ইউক্রেন)