ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মো. সাকিব (১৭) এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় ভারতের এক নাগরিকও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সুজন বর্মন (৩৫) নামের ভারতীয় নাগরিককে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আটক সুজন বর্মনকে হাতিরঝিল থানায় হস্তান্তর করেছে।
এ বিষয়ে বিজিবির পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে একটি সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় একজন ভারতীয় চোরাকারবারী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।এ তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে বিজিবির একটি টহলদল ঢাকার মগবাজারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুজন বর্মনকে আটক করে। এরপর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটক সুজন বর্মনের বাড়ি ভারতের আগরতলার বটতলী গ্রামে। তার পিতার নাম মঙ্গল বর্মন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মোটরসাইকেল আনছিলেন দুইজন। রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় বিএসএফ গুলি করলে তারা আহত হন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের বলেন, ‘কসবা সীমান্তবর্তী বায়েক ইউনিয়নের মাদলা এলাকায় রোববার মধ্যরাতে বিএসএফের গুলিতে আহত হন দুজন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সাকিবকে উদ্ধার করে তার স্বজনেরা ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে সাকিব মারা যান। নিহত সাকিব বায়েক ইউনিয়নের মাদলার নন্দননগর পুরাতন গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মো. মোতালেবের ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে ভারতের নাগরিক সুজন বর্মনকে পরিচয় গোপন করে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে চোরাচালান সিন্ডিকেটের কয়েকজন। বিজিবি সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।