কক্সবাজারে সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তরল প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে পিটার হাস কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছেন। এসময় বিমানবন্দরে বেশ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
পিটার হাসের সঙ্গে ছিলেন এক্সিলারেট এনার্জির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাবিবুর রহমান ভূইয়া এবং একই কোম্পানির অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান কে এম আতিকুল ইসলাম।
তারা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উত্তর নুনিয়াছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে যান। সেখান থেকে স্পিডবোটে মহেশখালী দ্বীপে যান। মহেশখালী নেমে সরাসরি চলে যান হোপ ফাউন্ডেশন ও এক্সিলারেট এনার্জির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এক্সিলারেট হোপ হসপিটালে।
বেলা ১১টার দিকে পিটার হাস হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুরুল হক।
হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. জাহিদুজ্জামান বলেন, ‘হঠাৎ করেই গতকাল জানানো হয়েছে- তিনি (পিটার হাস) কক্সবাজার আসছেন। আগে থেকে কোনো প্রস্তুতি ছিল না।’
‘আমাদের কর্মসূচি ছাড়া তিনি অন্য কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন কিনা তা আমি জানি না। তবে আমরা হাসপাতালটি এক্সিলারেট এনার্জিকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
হাসপাতালে প্রবেশের পর পিটার হাসকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. জাহিদুজ্জামান। নবনির্মিত হাসপাতালটির অবকাঠামো ও চিকিৎসা সেবার নানা দিক ঘুরে দেখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত। পরে হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতেও যোগ দেন তিনি।
পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলটি বড় মহেশখালীতে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন। তবে সেগুলো কী ধরনের কর্মসূচি ছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এর আগে গত ৫ আগস্ট গুঞ্জন ওঠে যে কক্সবাজারে পিটার হাসের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন একটি রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতা। যদিও সেসময় পিটার হাসের কক্সবাজার থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মহেশখালীর একটি সূত্রের দাবি, পিটার হাস উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে হোপ ফাউন্ডেশনের হাসপাতাল ছাড়াও বড় মহেশখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শক্তি ফাউন্ডেশনের মেডিকেল ক্যাম্প ঘুরে দেখেন। পরে তিনি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এলাকার দিকে চলে যায় পিটার হাসসহ প্রতিনিধি দলটি।