রাজধানীর বাংলামোটরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের (অস্থায়ী) সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনসিপি)। বিস্ফোরণে দলটির ৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এনসিপি কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ বিস্ফোরণে এনসিপির ঢাকা মহানগরের নেতা আসিফ উদ্দিন সম্রাট, যুব শক্তির সংগঠক আবদুর রব, শ্রমিক উইংয়ের শফিকুল ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, হাজারীবাগ থানার সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব সুমন হোসেন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এনসিপি।
রোববার বিকেলেও এনসিপি অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে সে ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে ককটেল ছুড়ে মারা হয় বলে জানান এনসিপির নেতৃবৃন্দ।

টানা দ্বিতীয় দিন নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে এনসিপি। মিছিল শেষে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয় সমাবেশ থেকে।
বাংলামোটরে রূপায়ণ টাওয়ারে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের (অস্থায়ী) সামনে থেকে রাত ১২টায় এ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বাংলামোটর থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘ যখন এনসিপির রাজনীতি গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, নিবন্ধনের জন্য এনসিপি আবেদন করেছে ঠিক তখন পরপর দুইদিন ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সংস্কার ও বিচারের প্রশ্নে আমরা কোনো ভয় পাই না।’
‘হামলা করে সংস্কার ও বিচার আটকে রাখা যাবে না। পুরানো ফ্যাসিবাদকে ফেরত আনা যাবে না।’
সারাদেশে এনসিপির নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘ এই ঘটনা বাংলাদেশে পুরানো এস্টাবলিশমেন্টে ফেরতের নিদর্শন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
হামলাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান এনসিপির নেতৃবৃন্দ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের বিষয়টিতে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান তারা।
বিক্ষোভ মিছিলে জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনীম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদিন শিশিরসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।