পুলিশের বিশেষ শাখা এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে হত্যার দায়ে দুবাইয়ে পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সংবাদ সংস্থা ইউএনবি জানায়, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- আরাভ খানের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া (২১), মামুন ইমরানের বন্ধু রহমাত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১), সারোয়ার হোসেন (২৩)।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন।
অপর ৬ আসামির মধ্যে রহমাত উল্লাহ ও সারোয়ার হোসেন জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন। এছাড়া বাকী চার আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
পরে আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতক আরাভ খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আলোচিত এ মামলায় কয়েক দফা রায় পেছানো হয়। সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল রায় পিছিয়ে ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছিল।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। পরে ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পরে তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ রহমত উল্লাহ ও রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেয় পুলিশ।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, রবিউল ইসলামের (আরাভ খান) নেতৃত্বে বিত্তবানদের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করত একটি চক্র। তাদের লক্ষ্য ছিল রহমাত উল্লাহকে আটকে ‘অশালীন’ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করা। সেজন্য ওই চক্র জন্মদিনের নাটক সাজিয়ে রহমতকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল বনানীর ওই বাসায়। আর বন্ধু রহমাতের সঙ্গে সেখানে গিয়ে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন।
প্রধান আসামি রবিউল ইসলাম নাম-পরিচয় বদলে আরাভ খান পরিচয়ে বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। সেখানে তিনি ভারতীয় পাসেপার্ট নিয়ে জুয়েলারী ব্যবসা করছেন বলে জানা যায়।