মাস খানেক ঘাম ঝরিয়ে প্রস্তুতি, বিদেশে ক্যাম্প, সব মিলিয়ে বেশ পরিপাটি প্রস্তুতি নিয়েই এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নামছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। ৩ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনামের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে লাল-সবুজ তরুণদের স্বপ্নপথচলা।
বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ম্যাচের আগেই জানালেন, খেলোয়াড়দের মানসিকতা আর প্রস্তুতিই এখন ভরসা। তার ভাষায়, ‘গত এক মাস ধরে আমরা ঢাকায় অনুশীলন করেছি, এরপর বাহরাইনেও ক্যাম্প হয়েছে। ভিয়েতনামে এসে দুই দিন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও সেরেছি। ছেলেরা মোটিভেটেড, কিছু একটা ইতিবাচক ফল বের করার জন্যই তারা নামবে মাঠে।’
তবে প্রথম ম্যাচে দলে থাকছেন না অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ফাহামিদুল। ক্লাব পরিবর্তনের জটিলতায় ছাড়পত্র দেরিতে মেলেছে তার। ফলে ভিয়েতনামের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে না পাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। এই অনুপস্থিতি নিয়ে দলের চিন্তা থাকলেও বাকি খেলোয়াড়দের উপরই আস্থা রাখছে কোচিং স্টাফ।
মিডফিল্ডার শেখ মোরসালিনও শোনালেন একই সুর। তিনি বলেন, ‘গত এক মাস আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। এখন সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত। প্রথম ম্যাচে সর্বোচ্চটা দেওয়ার জন্যই নামব।’
বাছাইপর্বে ভিয়েতনামের পর বাংলাদেশ খেলবে ইয়েমেন ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। ৬ সেপ্টেম্বর ইয়েমেন এবং ৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজ দল।
এশিয়ান কাপের বাছাই লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে মোট ৪৪টি দল। ১১টি গ্রুপে ভাগ হয়ে হচ্ছে এই প্রতিযোগিতা। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন, সঙ্গে সেরা চার রানার্স-আপ আর আয়োজক সৌদি আরব জায়গা পাবে মূলপর্বে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে সৌদি আরবেই বসবে এশিয়ান কাপের আসর, যেখানে থাকবেন ১৬ দলের সেরারা।
বাংলাদেশের জন্য তাই এই যাত্রা শুধু একটি টুর্নামেন্ট নয়, বরং নিজেদের প্রমাণ করারও সুযোগ। শক্ত প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে হলেও মাসব্যাপী প্রস্তুতিতে আত্মবিশ্বাসী কোচিং স্টাফ আর খেলোয়াড়রা। এখন দেখার বিষয়, মাঠে সেই প্রস্তুতি কতটা কাজে লাগাতে পারেন তরুণরা।