মিক্সড মেম্বার প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (এমএমপিআর) নির্বাচনব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন তিনি। একই সঙ্গে এমএমপিআর নির্বাচন পদ্ধতির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন দলটির নেতারা এবং এর সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
মামুনুল হক বলেন, ‘এমএমপিআর বর্তমানের ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট (এফপিটিপি) এবং প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) এর সম্মিলিত নির্বাচন পদ্ধতি, যা বাস্তবায়নে সব নাগরিকের ভোটের যথাযথ মূল্যায়ন হবে।’
এ সময় এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা দ্বিকক্ষ সংসদ পদ্ধতির বিরুদ্ধে হলেও জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে আমরা এটি মেনে নিতে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘৩০০ আসনের পাশাপাশি সংরক্ষিত ১০০ আসনে পিআর নির্বাচন করা উচিত, যাতে হরিজন, পাহাড়ি, মহিলা ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।’
অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘রাষ্ট্র কাঠামো ও শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া দূর্বৃত্তায়নের রাজনীতি বন্ধ হবে না। দ্বিকক্ষ সংসদ পদ্ধতিতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে উচ্চকক্ষকে পুনর্বাসনের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির আতিক মুজাহিদ বলেন, ‘নেতৃত্বের দুর্নীতি ও রাজনৈতিক পিউরিফিকেশন ছাড়া দেশের উন্নয়ন অসম্ভব। সংবিধানের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংস্কার জরুরি।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক বলেন, ‘বর্তমান ভোট ব্যবস্থা জনগণের মতামতকে প্রতিফলিত করতে ব্যর্থ। পিআর পদ্ধতিতে ভোটের প্রতিটি মূল্য সংরক্ষিত হয় এবং ভোট ডাকাতি ও চুরির সুযোগ থাকে না।’
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘খুনি হাসিনার মতো নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ।’
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান নির্বাচনব্যবস্থার গলদ নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার না করলে নতুন ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে।’
বৈঠকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফয়জুল হক আলেমদের নির্যাতনের পেছনে পিআর পদ্ধতির বাস্তবায়নের অনুপস্থিতি উল্লেখ করেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিও তোলেন তিনি।