কাঁধে করে সিনেমার ফেরি করতেন যিনি—তিনি তারেক মাসুদ। আর তার এ যাত্রায় দীর্ঘদিনের সঙ্গী ছিলেন চিত্রগ্রাহক ও সাংবাদিক মিশুক মুনীর। প্রখ্যাত এ দুই ব্যক্তি না ফেরার দেশে চলে যান ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট। তাদের হারানোর ১৪ বছর হলো বুধবার।
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়ে যাওয়া এ দুই কীর্তিমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ। আগামী দিনের তরুণ নির্মাতাদের কাছে তারেক মাসুদ ছিলেন এক স্বপ্নের নাম।
তারেক মাসুদ ভালোবাসতেন চলচ্চিত্রকে। তাকে সিনেমাযোদ্ধা বললেও ভুল হবে না। খুব সাধারণ জীবনযাপন করা মেধাবী এই মানুষটি যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন লড়াই করে গেছেন সিনেমা নিয়ে।
প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির ময়না’র জন্য ২০০২ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টর ফোর্টনাইটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন তারেক মাসুদ। তার অন্য ছবিগুলোও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত।
তারেক মাসুদ নির্মিত অন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো— অন্তর্যাত্রা ও রানওয়ে। এছাড়া ‘আ কাইন্ড অফ চাইল্ডহুড’, ‘নারীর কথা’, ‘মুক্তির কথা’, ‘আদমসুরত’, ‘মুক্তির গান’সহ আলোচিত কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন তিনি।