সৌদি প্রবাসী রুবেল হোসেন (২৫) মারা গেছেন এক বছর আগে। দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়ার পর শনিবার তার মরদেহ পৌঁছে ঢাকায়। ফটিকছড়ির বাড়ি থেকে মরদেহ নিতে ঢাকায় আসেন তার দুই ভাই বাবুল হোসেন ও ওসমান গনি। ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাদেরও। ভুজপুর ইউনিয়নের তালুকদারপাড়ায় রোববার পৌঁছেছে তিন মরদেহ। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
হাইওয়ে পুলিশের মিয়াবাজার থানার ইনচার্জ মো. সাহাব উদ্দিন জানান, শনিবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিশা এলাকায় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে বাবুল (৩২) এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওসমান (৪০) মারা যান।

পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর লরি ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক পালিয়ে গিয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্বজনরা জানান, রুবেলের মরদেহ শনিবার সৌদি আরব থেকে এক বছর পর ঢাকায় পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ গ্রহণ করেন আপন ভাই বাবুল ও মামাতো ভাই ওসমান মিয়া। তারা একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া কের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিশা এলাকায় শনিবার বিকেল ৫টার দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে বাবুল ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওসমান মারা যান। বশির মিয়া নামে তাদের এক নিকট আত্মীয় গুরুতর আহত হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ফটিকছড়িতে রুবেলের মরদেহের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনরা। কিন্তু ফিরেছে একসঙ্গে তিন মরদেহ। রোববার তাদের একসঙ্গে দাফনের প্রস্তুতি নেন গ্রামবাসী।