দীর্ঘ এক দশক পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) অনার বোর্ডে ফিরেছে সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম।
২০১৫ সালে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পর এতদিন তা আড়ালেই ছিল। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নামটি পুনর্লিখন করে আবার দৃশ্যমান করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী অনার বোর্ড থেকে মান্নার নাম মুছে দেন এবং সংগ্রহশালায় টাঙানো ছবি নামিয়ে ফেলেন। তখন তাকে ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়।
২০২৪ সালের আগস্টে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পরও অনার বোর্ডে নাম পুনর্লিখন হয়নি। এমনকি ওই বছরের মে মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেও মান্নার নাম ঢাকা ছিল। তবে সম্প্রতি চাকসু নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার পর প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ সেপ্টেম্বর অনার বোর্ডে তার নাম পুনঃস্থাপন করা হয়।
চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক ও নির্বাচন কমিশনের সদস্য জাহিদুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি বিষয়টি জানার পরই আমরা নামটি পুনরায় লিখে দিয়েছি। এর আগে অনার বোর্ডের বিষয়টি সম্পর্কে জানা ছিল না।’
১৯৭২ সালের চাকসু নির্বাচনে জাসদ ছাত্রলীগের প্রার্থী হয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মাহমুদুর রহমান মান্না। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তিনি ছিলেন ছাত্ররাজনীতির আলোচিত মুখ। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আরও সক্রিয় হন ছাত্ররাজনীতিতে। ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে তিনি দুইবার ডাকসুর ভিপি নির্বাচিত হয়ে ইতিহাসে একমাত্র দুইবারের ভিপি হওয়ার বিরল রেকর্ড গড়েন।