ক্ষমতার ভারসাম্য, গণহত্যার বিচার এবং একটি অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে জাতিকে আবারও একাত্তর ও ’২৪-এর জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সংগঠনটি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের পর সবচেয়ে বৃহৎ ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার আন্দোলন ছিল জুলাই অভ্যুত্থান। এটি কেবল ক্ষোভ নয়, ছিল নতুন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থার প্রত্যাশা।’
জোনায়েদ সাকি অভিযোগ করে বলেন, ‘পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি এখনো সক্রিয়। আওয়ামী লীগ গোপন সন্ত্রাস ও ‘‘মব’’ রাজনীতির মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে তাদের অপরাধ আড়াল করতে চাইছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি জানান, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণসংহতি আন্দোলন ‘‘জুলাই অভ্যুত্থান মাস’’ পালন করবে। এই ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪ জুলাই বিএমএ মিলনায়তনে আহতদের সম্মানে সম্মেলন, ১৬ জুলাই রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের প্রতি শ্রদ্ধা ও গণসমাবেশ, ১ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই গণসমাবেশ’ এবং ৪ আগস্ট মিরপুরে শহীদ জুলফিকার শাকিলের শাহাদত দিবসে গণসমাবেশ আয়োজন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এই কর্মসূচিগুলো কেবল স্মরণ নয়, বরং তা হবে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণজাগরণ ও প্রতিরোধের প্ল্যাটফর্ম।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবুসহ আরও অনেকে।