কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় হিন্দুধর্মাবলম্বী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘একজন উপদেষ্টা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুরাদনগরে ক্রমাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন।‘ রোববার এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘হিন্দুধর্মাবলম্বী এক নারীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতন এক নির্মম কলঙ্কজনক ঘৃণ্য ঘটনা। এমন বর্বরোচিত ঘটনা দেশের মানুষকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। অথচ একটি কুচক্রী মহল এই কাপুরুষোচিত ন্যক্কারজনক ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার এক গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।’
ফ্যাসিবাদী আমলের মতো নিজেরাই সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি দখল ও নির্যাতন করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ধারাবাহিকতা এখনো চলছে, যোগ করেন তিনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মুরাদনগর এলাকার একজন উপদেষ্টা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মুরাদনগরে ক্রমাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পেয়ে সমাজবিরোধী নানা অপকর্মে মেতে উঠেছে। ’
এ ক্ষেত্রে তারা দেশ-বিদেশ থেকে অবিরাম মদদ পাচ্ছে। উপদেষ্টা যদি জনসেবার চেয়ে আত্মসেবাতেই ব্যস্ত থাকেন, তাহলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হবে। মুরাদনগরের বাসিন্দা উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী এমপিদের মতো এলাকায় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত রয়েছেন, অভিযোগ করেন তিনি।
নারী নির্যাতনকারী অপরাধীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
পতিত স্বৈরাচারের দোসররা অর্থবিত্তে সজ্জিত। নারী নির্যাতনসহ সহিংস সন্ত্রাসের ঘটনায় উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য তারা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। শক্তিশালী পক্ষের আশীর্বাদ আছে বলেই দুর্বৃত্তরা সহিংস কার্যাবলি চালাতে উৎসাহিত হচ্ছে, যোগ করেন তিনি।
নারী নির্যাতনকারী অপরাধীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।