গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, এই সরকারের কাজ ছিল বৈষম্যবিহীন বাংলাদেশ নির্মাণের গতিমুখ ঠিক করা। এই সরকার অস্থায়ী সরকার, এর স্থায়ী কোনো ম্যান্ডেট নেই। সুতরাং তার পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব না।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কেমন বাজেট চাই?’ শীর্ষক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সভায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকারের সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট হয়েছে, কিছু সংস্কারের প্রত্যাশা রয়েছে এবং কিছু করণীয় আছে, যেগুলো তারা খুব সহজেই করতে পারে। যেমন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি প্রাথমিক এবং বহু বছরের দাবি যা বর্তমানে মোট বাজেটের ৫-৬ ভাগ যা থাকা উচিত তা বরাদ্দ থাকে ১-২ ভাগ, যা বিশ্বের সব দেশের সবচেয়ে কম।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বলছে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দিতে হবে, করিডোর করতে হবে কিংবা স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে, যা জাতীয় সক্ষমতার বিপরীতে হাজির করা হচ্ছে। বিদেশি কোম্পানি আনতেই হবে, এই বিষয়ে দৃঢ়তা না দেখিয়ে সরকার যদি চট্টগ্রাম বন্দরে যেসব প্রাতিষ্ঠানিক অক্ষমতা রয়েছে তা দূর করতে কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে দৃঢ়তা দেখাতো তবে জাতীয় সক্ষমতা বজায় থাকবে এবং সেটিই স্থিতিশীল প্রভাব ফেলবে।’
‘একটা সংস্কার খুব সহজ ছিল যে, প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে উপদেষ্টা প্রতিনিধি, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সবার শিক্ষা ও চিকিৎসা পাবলিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে বাধ্যতামূলক করা। তাহলেই পাবলিক শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের চেহারা বদলে যেত। বাজেটের আগে এই ধরনের ঘোষণা হলে বরাদ্দের গুণগত পরিবর্তন হওয়া খুবই সহজ হবে।’
সভায় কৃষি বাজেট নিয়ে শিক্ষক ও গবেষক মাহা মির্জা, জ্বালানি বাজেট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা ঋতু, শিক্ষা বাজেট নিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রেসিডেন্ট সালমান সিদ্দিক, চিকিৎসা বাজেট নিয়ে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ, বাজেটে বৈষম্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে কল্লোল মোস্তফা বক্তব্য দেন।