কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সারাদেশে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা। সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে এবারের পরীক্ষার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী, যারা দেশের ৯ হাজার ৩১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসেছে। এর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে।
গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
করোনাভাইরাস ও ডেঙ্গুর আশঙ্কা মাথায় রেখে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি স্বাস্থ্যবিধি পালনে কড়াকড়ি নির্দেশনা দিয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, প্রবেশপথে রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে কেন্দ্র ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘করোনা ও ডেঙ্গুর ঝুঁকি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছি। এসব তদারকির জন্য বোর্ডের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।’
পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হলেও সকাল ৭টার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে এসে ভিড় করতে শুরু করে। অনেকের সঙ্গে অভিভাবকদেরও দেখা গেছে।
এদিকে পরীক্ষা ও অফিস শুরু হওয়া প্রায় একসাথে হওয়ায় রাজধানীর সড়কজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়, যার কারণে অনেক পরীক্ষার্থী ও অভিভাবককে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
লিখিত পরীক্ষা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত, এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ১১ আগস্ট, শেষ হবে ২৮ আগস্ট।