কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গণমাধ্যমে আরো বেশি সৃজনশীলতার চর্চা জরুরি বলে মনে করেন সাংবাদিকরা।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যম ও উন্নয়নবিষয়ক সংগঠন ‘সমষ্টি’র আলোচনায় তারা বলেন, ‘এআইকে বাধা হিসেবে নয়, বরং সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে হবে। এআই যুগে সাংবাদিকতার উৎকর্ষ রক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ, নৈতিক মানদণ্ড এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার অনুশীলনই হতে পারে টেকসই পথ।’
এ জন্য সাংবাদিকদের মধ্যে কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির পরামর্শ দেন গণমাধ্যম ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলোচকরা বলেন, ‘সাংবাদিকতার মূল শক্তি হলো তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা। সেই জায়গায় যন্ত্র নয়, মানুষই মুখ্য। তাই সাংবাদিকদের নৈতিকতা, বস্তুনিষ্ঠতা এবং মাঠপর্যায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতাই তাদের আলাদা পরিচয় তৈরি করবে।’
গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘সাংবাদিকদের কারিগরি দক্ষতা ও কনটেন্ট উপস্থাপনার নতুন ধারা আয়ত্ত করতে হবে। একই সঙ্গে সত্যনিষ্ঠতা বজায় রেখে পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করাও জরুরি।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘সত্য তুলে ধরতে গিয়ে সাংবাদিক হুমকির মুখে পড়লে সুশীল সমাজসহ সংশ্লিষ্ট মহলের উচিত হবে তাদের পাশে থাকা।’ গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় রাষ্ট্রেরও ইতিবাচক ভূমিকা আশা করেন তারা।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো’র ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৯৭ সাল থেকে বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন হয়ে আসছে। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য: নতুন বৈশ্বিক বাস্তবতায় সাহসী রিপোর্টিং: গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব।