উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া মরোক্কো যাওয়ার পথে তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগে ‘অ্যামোনেশন ম্যাগাজিন’ পাওয়া গেছে। তবে সেখানে অস্ত্র ছিল না। হ্যান্ডব্যাগে অস্ত্র ছাড়া শুধু ম্যাগাজিন রাখার বিষয়টি রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
রোববার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ে এ অ্যামোনেশন ম্যাগাজিন শনাক্তের পর উপদেষ্টা তা ব্যাগ থেকে বের করে দেন। এরপর ম্যাগাজিনটি উপদেষ্টা তার একান্ত সচিব আবুল হাসানের কাছে জমা দিয়ে তিনজন সঙ্গীসহ মরক্কোর উদ্দেশে রওনা দেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া টাইমস অব বাংলাদেশকে বলেন, ‘উপদেষ্টা মহোদয় তার লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের ম্যাগাজিন ভুল করে ব্যাগে নিয়ে এসেছিলেন। ভুলতো মানুষেরই হয়, এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পরে তিনি তার প্রোটোকল অফিসারের কাছে ম্যাগাজিনটি পাঠিয়ে দেন।’
জানা যায়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৭১৩ নম্বর ফ্লাইটে ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে মরক্কো যাচ্ছিলেন। সেখানে মারাক্কেশ ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২৫ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন তিনি।
টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি রোববার সকাল ৭টা ৮ মিনিটে ঢাকা থেকে ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর আগে ৯ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজে আইএনএস-এর সময় লাগেজ স্ক্যানিংয়ে উপদেষ্টার একটি ব্যাগে ম্যাগাজিন পাওয়া যায় ।
আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন (আইকাও), বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অ্যারোনটিক্যাল পাবলিকেশন ইনফরমেশন (এআইপি), হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থার (আইএটিএ) ডেঞ্জারাস গুড রেগুলেশনের মধ্যে কেবিন ব্যাগেজে ম্যাগাজিন বহন নিষিদ্ধ। তবে লকড প্যাকেজে প্যাকিং নীতি মেনে আগে ঘোষণা দিয়ে চেক-ইন লাগেজে গুলি ও ম্যাগাজিন নেওয়া যায়।
বিমানবন্দরের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনাটি বিব্রতকর। উপদেষ্টার লাগেজে ম্যাগাজিন পাওয়ায় কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। অন্য যাত্রীর ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।’
এ ঘটনায় বোডিং ব্রিজে ক্যাবের নোট খাতায় কোন নোট রাখা হয়নি। এমনকি ভিঅআইপিতে প্রবেশের সময় উপদেষ্টার হ্যান্ড লাগেজটি স্ক্যানও করা হয়নি বলে জানান তিনি।