উদ্বোধনের পরদিনই মাওলানা ভাসানী সেতু (দ্বিতীয় তিস্তা সেতু) থেকে চুরি হয়েছে বৈদ্যুতিক তার। বুধবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদীর ওপর ৯২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
দ্বিতীয় তিস্তা সেতু নামে পরিচিত সেতুটি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার তার চুরি হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যার পরও সেখানে বাতি জ্বলেনি বলে জানা গেছে। এতে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে সংযোগকারী অন্যতম বৃহৎ সেতু পারাপারে যানবাহন চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ।
সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সেতুর ল্যাম্পপোস্টগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে গিয়ে দেখা যায় বাতিগুলো জ্বলছে না। পরে তারা দেখতে পান, সেতুর হরিপুর পয়েন্ট থেকে সংযোগ নেওয়া বৈদ্যুতিক তার চুরি হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান মিলন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈদ্যুতিক তার কেটে নেওয়ায় সেতুতে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব হয়নি এবং সেতুটি এখনও অন্ধকারে রয়েছে।’

এদিকে উদ্ধোধনের একদিনের মাথায়ই সেতু থেকে ক্যাবল চুরির ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। হতাশা ও ক্ষোভ জানিয়ে তারা বলেন, ‘আমরা সামান্য তারের লোভ সামলাতে পারলাম না। কিছুদিন পর হয়তো ব্রিজ ভেঙে রডও চুরি হবে!’
স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জানায়, উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবন ও যোগাযোগ আরও সহজ করতে ২০১৪ সালে এক হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় তিস্তা সেতু নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়। উদ্বোধনের সময় সেতুটি ‘মাওলানা ভাসানী সেতু’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার, সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওফিড) যৌথ অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা।
সেতুটির লেন সংখ্যা ২টি এবং মোট স্প্যান সংখ্যা ৩১টি। প্রকল্পে সংযোগ সড়ক ও নদী শাসনসহ প্রায় ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।