বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, কিছু কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হলেও এখনো দলটির আস্থায় আছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার মগবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে এদিন ইসি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের পুরনো নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা পুনর্বিন্যাস করে এবং দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়।
দীর্ঘ আইনি ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শেষে এ সিদ্ধান্ত দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত করে।
জামায়াতের এই নেতা ইসির সিদ্ধান্তকে ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি মাইলফলক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতিপূর্বে কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও আমরা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতায় আস্থা রাখি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা সম্পর্কেও সন্তোষ প্রকাশ করে পরওয়ার বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হোক-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
৪ জুন বৈঠক করে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি। সেদিন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, অতিসত্বর জামায়াতে ইসলামী তাদের নিবন্ধন ফেরত পাবে, সে ব্যবস্থা ইসি গ্রহণ করছে। তবে দলীয় প্রতীকের ক্ষেত্রে একটি দাপ্তরিক প্রক্রিয়া আছে, এ জন্য একটু সময় লাগবে।
জামায়াতে ইসলামী তাদের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইসির কাছে আবেদন করেছিল। ইসি বিশদভাবে আলোচনা করে। যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে আছে ‘স্ট্যাটাসকো এনটে’ বলতে কী বোঝায়, অর্থাৎ ২০১৩ সালে জামায়াতের দলীয় নিবন্ধনের সঙ্গে প্রতীক ছিল, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশ্লিষ্ট ধারাও বিবেচনায় নেওয়া হয়।
২০০৮ সালের নভেম্বরে জামায়াতকে নিবন্ধন সনদ দেয় নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে ইসির দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি।