ইরানের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের বাজান তেল শোধনাগারে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। হামলায় স্থাপনাটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম ইসরাইল হায়োম।
সোমবার বার্তা সংস্থা মেহের-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলাটি ঘটে স্থানীয় সময় রোববার ভোরের কিছু আগে। হিব্রু ভাষার দৈনিক ইসরাইল হায়োম-এর বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি শোধনাগারের একটি অভ্যন্তরীণ কক্ষে আঘাত হানে। এতে সেখানে অবস্থানরত তিন ব্যক্তি আগুন ও ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ে প্রাণ হারান।
বাজান কর্তৃপক্ষ বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলার ফলে প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসে ধীরে ধীরে উৎপাদন ফেরানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ হামলায় ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
শুধু শোধনাগার নয়, হামলায় ইসরাইলের জ্বালানি অবকাঠামো এবং আলো সরবরাহ ব্যবস্থাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ১৩ জুন থেকে টানা ১২ দিন ইসরাইল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালায়।
এর জবাবে ২২ জুন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এয়ারোস্পেস ইউনিট ‘ট্রু প্রমিজ-৩’ নামে একটি সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনায় অন্তত ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এসব হামলায় ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সামরিক স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এই উত্তেজনার মধ্যে ২৩ জুন ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত অন্যতম বড় সামরিক ঘাঁটি কাতারের আল-উদেইদ এয়ারবেসে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
এর পরদিনই যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়, যা ২৪ জুন থেকে কার্যকর হয় এবং উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ থেমে যায়।