বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্যাথরিন ব্রিন কামকং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
উপদেষ্টা হোসেন মাতৃস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, জেন্ডার সমতা ও যুব ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে ইউএনএফপিএ’র গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি কামকং-এর নেতৃত্বে ইউএনএফপিএ’র সঙ্গে সরকারের চলমান অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক কামকং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা খাতে দুই দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। বাংলাদেশে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ইউএনএফপিএ’র নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাওয়াকে তিনি সম্মানের বিষয় বলে উল্লেখ করেন।
তিনি মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস ও নারীদের গড় আয়ু বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
‘তিন শূন্য’র-মাতৃমৃত্যু রোধে শূন্য সহনীয়তা, পরিবার পরিকল্পনায় অপূর্ণ চাহিদার শূন্যতা, এবং জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শূন্য সহনীয়তা—প্রতি ইউএনএফপিএ’র প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে কামকং ২০২২–২০২৬ দেশ কর্মসূচির আওতায় অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
এর মধ্যে রয়েছে—যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নয়ন, যুবকদের ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা।
ইউএনএফপিএ’র বর্তমানে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ২৮৮ জন জাতীয় মিডওয়াইফ ও নারীবান্ধব স্থান পরিচালনার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
নগরভিত্তিক উদ্ভাবনী উদ্যোগ ‘মা জান’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ২ হাজার ৭০০ এরও বেশি জটিল প্রসব সংক্রান্ত রোগীকে জরুরি সেবায় রেফার করা হয়েছে।
ক্যাথরিন কামকং-এর নিয়োগ বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনের উদ্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ—বিশেষ করে সমতা ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা, জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধ, এবং জনসংখ্যা ও জলবায়ুভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে।