রাজধানী ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক বুধবার (৯ এপ্রিল) শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
বুধবার সকালে শমী কায়সারকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। একঘণ্টারও বেশি সময় হাজতখানায় রাখার পর তাকে আদালতে তোলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদিকুজ্জামান তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন । পরে বিচারক সেটি মঞ্জুর করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুরে উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিল ছিল। সেই মিছিলে অংশ নেন টঙ্গী সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান ইউসুফ (২০)। মিছিলে থাকাকালে জুবায়ের গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হন।
এ ঘটনায় ২২ আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা হয়। এজাহারে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে শমী কায়সারের নাম ছিল না। আদালতের অনুমতি নিয়ে পুলিশ এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কের একটি বাসা থেকে শমী কায়সারকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। পরদিন তাকে ইশতিয়াক মাহমুদ হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শমী কায়সারকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন শমী কায়সার। শুনানি নিয়ে তাকে তিন মাসের জন্য জামিন দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত তার জামিন স্থগিত করে। দুটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হিসেবে শমী কায়সার বর্তমানে কারাবন্দি।