আনসার কোম্পানিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে: ডিজি

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
রাজধানীর ধানমন্ডিতে বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন আনসার দক্ষিণ জোন আয়োজিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে কথা বলেন বাহিনীটির ডিজি মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। ছবি: বাসস
Highlights
  • ‘প্রতিটি আনসার সদস্য যদি মৌলিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়, তবে তারা বাহিনীর যোগ্য ও দেশপ্রেমিক প্রতিনিধি হয়ে উঠবে।’

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ জানিয়েছেন, উপজেলা ও থানা আনসার কোম্পানিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, রাজধানীর ধানমন্ডির বিসিএসআইআর স্কুল অ্যান্ড কলেজে বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন আনসার দক্ষিণ জোন আয়োজিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

মহাপরিচালক বলেন, ‘উপজেলা বা থানায় সামাজিক অপরাধ দমন ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দেওয়া আনসার ও ভিডিপির একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ আনসার সদস্যের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, সম্পৃক্ততা ও ধারাবাহিকতার  অনুপস্থিতির কারণে আনসার কোম্পানি কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়েছে।’

‘চলমান সংস্কারের আওতায় আনসারদের সুনির্দিষ্টভাবে সাজানো হচ্ছে। প্রশিক্ষণের ধারণা নতুন করে গড়ে তুলে উপজেলা আনসার কোম্পানিকে একটি জাতীয় নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্মে রূপান্তর করা হচ্ছে, যেখানে তারা অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জাতীয় প্রয়োজনে কাজ করতে পারবে,’ যোগ করেন তিনি।

আনসারের ডিজি আরো বলেন, ‘প্রতিটি আনসার সদস্য যদি মৌলিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়, তবে তারা বাহিনীর যোগ্য ও দেশপ্রেমিক প্রতিনিধি হয়ে উঠবে।’

মেজর জেনারেল সাজ্জাদ মাহমুদ আরও বলেন, ‘আনসার বাহিনী এখন প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে আসছে। উপজেলা আনসার কোম্পানি গঠনে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যাতে সদস্যরা হয় তারুণ্যনির্ভর, নৈতিকতা ও মূল্যবোধসম্পন্ন এবং রাষ্ট্রীয় নিয়মকানুনে শ্রদ্ধাশীল। এজন্যই শারীরিকভাবে সক্ষম ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী সদস্যদের এই প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই করা হয়েছে।’

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, দুর্যোগকালীন কার্যক্রম, সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা, পূজা ও নির্বাচনসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে উপজেলা আনসার সদস্যরা সরাসরি ভূমিকা রাখবে। তাদের দায়িত্ব নির্দিষ্টকরণ, সামাজিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণ এবং বাহিনীর সংস্কার কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয়ের লক্ষ্যেই এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।

ধাপে ধাপে সারাদেশের মোট ৫২ হাজার ১৮৩ জন সদস্য এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। ২৬ আগস্ট শুরু হওয়া এ কার্যক্রম আট ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামী ১০ জানুয়ারি শেষ হবে। প্রতিটি ধাপ ১৪ দিনব্যাপী।

 

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *