চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার মামলায় পলাতক ১৯ জন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ এই আদেশ দেন।
বিষয়টি টাইমস অব বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন আলিফের আইনজীবী জিয়াউর রহমান। এদিন আসামি পক্ষের কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
তিনি বলেন, ‘সোমবার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণযোগ্যতার শুনানি ছিল। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে শুনানি শুরু হয়। এ সময় শহিদ আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।’
অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান বলেন, ‘এই মামলায় এজাহারনামীয় আসামি ছিল ৩১ জন এবং তদন্তপ্রাপ্ত ছিল ১০ জন। ৪১ জনের মধ্যে নাম, ঠিকানা না পাওয়ায় এজাহারনামীয় দুইজন ও তদন্তপ্রাপ্ত একজন আসামিকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছিল। এর মধ্যে আসামি সুকান্ত দাশকে চার্জশিটভুক্ত করার জন্য আদালতে দরখাস্ত প্রদান করি। আদালত এই সুকান্ত দাশকে তার ঘটনাস্থলের ছবি এবং মাদক-অস্ত্রসহ মোট আটটি মামলা দেখে তাকেসহ যুক্ত করে মোট ৩৯ জনকে আসামি করে চার্জশিট গ্রহণ করেছে। গ্রহণপূর্বক এই মামলায় পলাতক ১৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তারে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছে।’
গত ১ জুন চট্টগ্রাম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান এ চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ৩৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা চার্জশিট অনুযায়ী এজাহারভুক্ত ও তদন্তে প্রাপ্ত মোট আসামি ৪১ জন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত দুই জন ও তদন্তে প্রাপ্ত একজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। বর্তমানে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ২০ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন ১৯ জন।
২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।