ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে সাথী আক্তার নামে এক প্রসূতি মায়ের অস্ত্রোপচারের পর পেটের ভেতরে প্যাড রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ উঠেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের বিরূদ্ধে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামানের কাছে মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারীর স্বামী।
ওই নারীর স্বামী আবুজর গিফারী অভিযোগে বলেন, ‘২৫ জুলাই প্রসব ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের গাইনি বিভাগে স্ত্রীকে ভর্তি করাই। ২৬ জুলাই ভোরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মের পর কর্তব্যরত চিকিৎসক প্যাড পেটের ভেতরে রেখে সেলাই করে দেয়। পরে ডা. আইরিশ রহমান ছাড়পত্র দিলে রোগীকে বাসায় নিয়ে আসি।’
‘পরে রোগী পেটে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করলে ১৮ আগস্ট সকালে আবারও হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু দায়িত্বরত নার্স বলেন, আজকে আর ডাক্তার আসবেন না। পরে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়। এরপর বেসরকারি একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে, ডাক্তার রোগীর শরীরের ভেতরে থাকা প্যাড বের করেন।’
তিনি আরও জানান, তার স্ত্রীর এ কারণে ইনফেকশন হয়ে গেছে এবং তিনি এখনো আশঙ্কা মুক্ত নন। তাই চিকিৎসায় অবহেলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফিরোজ জামান বলেন, ‘আমি চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দায়িত্বে অবহেলার সত্যতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’