অস্ত্রবিরতি আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি

টাইমস রিপোর্ট
2 Min Read
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: এপি/ইউএনবি

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি সম্ভাব্য অস্ত্রবিরতির লক্ষ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়।

বুধবার নতুন এই হামলার ঢেউ তখনই আসে, যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাবিত অস্ত্রবিরতির লক্ষ্য হলো যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ও গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৭ জন নারী এবং ১০ জন শিশু। একটি বিমান হামলায় একই পরিবারের ১০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছেন ।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় তারা গাজায় ১০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যার মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী, অস্ত্রের গুদাম, সুড়ঙ্গ ও বিস্ফোরক-ফাঁদপাতা কাঠামো। তবে নির্দিষ্ট হামলা নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।

গাজার ফিলিস্তিনিরা এই আলোচনার ব্যাপারে সন্দিহান। তারা আশঙ্কা করছেন, এটি হয়তো আরেকটি ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হতে পারে। মুয়াসির অস্থায়ী ক্যাম্পে একটি তাঁবুতে বসবাসকারী আবির আল-নাজ্জার বলেন, ‘আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ অস্ত্রবিরতি চাই।’ তার স্বামী জানান, প্রচণ্ড গরম ও পানির তীব্র সংকটে দুঃসহ হয়ে উঠেছে জীবন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক। ছবি: এপি/ইউএনবি

আরেক বাসিন্দা আমানি আবু-ওমর বলেন, ‘আমরা বহুবার যুদ্ধবিরতির আশা করেছি, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে।’

তিনি জানান, পানি সরবরাহের ট্রাক প্রতি চার দিনে একবার আসে, যার ফলে তার সন্তানরা পানিশূন্যতা ও গরমজনিত চর্মরোগে ভুগছে। ওয়াশিংটনে বৈঠক শেষে নেতানিয়াহু জানান, তিনি ও ট্রাম্প হামাস নির্মূলের লক্ষ্যে ‘পূর্ণ সমন্বয়’বজায় রাখছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।’

মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ এই সপ্তাহে দোহা যাচ্ছেন, সেখানে হামাসের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নেবেন তিনি। উইটকফ বলেন, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে, তবে একটি মূল ইস্যু এখনো অমীমাংসিত রয়েছে।

নেতানিয়াহু আরও জানান, তিনি ও ট্রাম্প ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে সাম্প্রতিক যৌথ হামলা এবং আব্রাহাম চুক্তির আওতায় সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়েও আলোচনা করেছেন। এই প্রক্রিয়ায় সৌদি আরবকে যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *