সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৪৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংস্থাটির নির্বাহী সদস্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
মামলায় সূচনা ফাউন্ডেশনের ১১ জন ট্রাস্টি, আট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১৬ কর্মকর্তাকে আসামি করা হবে বলেও জানান তিনি।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, ‘ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা সূচনা ফাউন্ডেশনকে অনুদান দিয়ে অবৈধ আয়কর মওকুফ করেছেন। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছেন জাতীয় রাজস্ব বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানসহ ১৬ কর্মকর্তা।’
সূচনা ফাউন্ডেশনের ১১ ট্রাস্টির মধ্যে আছেন সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মাজহারুল মান্নান, ভাইস চেয়ারপারসন প্রাণ গোপাল দত্ত, নাজমুল হাসান পাপন, সায়ফুল্লাহ আব্দুল্লা সোলেনখী, জ্যান বারী রিজভী, ট্রেজারার শামসুজ্জামান, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক রুহুল হক, শিরিন জামান মুনির, এম এস মেহরাজ জাহান ও হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের মধ্যে আছেন হামিদ রিয়েল এস্টেট এর চেয়ারম্যান ইন্তেকাবুল হামিদ, সানোয়ার গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসামরিক শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান, এপেক্স প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ, ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন হাসান রশিদ, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, বিল ট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাইনের চেয়ারম্যান এনায়েতুর রহমান।
অবৈধ আয়কর সুবিধা দেয়ার অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যে কর্মকর্তাদের নামে মামলা করা হবে তারা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, সাবেক সদস্য মীর মুস্তাক আলী, চৌধুরী আমির হোসেন, পারভেজ ইকবাল, ফরিদ উদ্দিন, ফিরোজ শাহ আলম, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহবুবুর রহমান, লোকমান চৌধুরী, রেজাউল হাসান, জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুর রাজ্জাক, এএফএম শাহরিয়ার মোল্লা, সুলতান মো ইকবাল, তন্দ্রা শিকদার ও কালীপদ হালদার।