অবিলম্বে তেহেরান খালি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘অবিলম্বে সবাইকে তেহেরান ত্যাগ করতে হবে।’
তিনি তার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ হুঁশিয়ারি দেন।
সেখানে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ট্রাম্প লেখেছেন, ‘সবাইকে তেহেরান ছাড়তে হবে। ইরান আমার প্রস্তাবিত চুক্তি মেনে নিলে আজকের প্রাণহানি এড়ানো যেত। এটা দুঃখজনক ও অনর্থক প্রাণহানি। পরিষ্কার করে বলছি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র গ্রহণ করতে পারে না। আমি বারবার এটা বলেছি।’
তবে এই হুঁশিয়ারির পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেননি তিনি। ট্রাম্পের হঠাৎ এমন হুঁশিয়ারিতে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
ট্রাম্প যখন এমন হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তখন দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে যাত্রা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস নিমিটজ। জাহাজের গতিপথ শনাক্তকারী ওয়েবসাইট মেরিন ট্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকালে মার্কিন এই রণতরিটি দক্ষিণ চীন সাগর ত্যাগ করে পশ্চিম দিকে যাত্রা শুরু করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘তেহরান খালি করার’ হুঁশিয়ারিকে ‘ভয়াবহ ও চরমভাবে উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্ক ট্যাংক ‘সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসি’-এর নির্বাহী সহসভাপতি ম্যাথিউ ডাস।
তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন,‘এটা আসলে ভয়াবহ। তেহরান একটি মহানগরী, যেখানে ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ বাস করে। এই বিশাল জনসংখ্যাকে হঠাৎ করে সরিয়ে নেওয়া এক কথায় অসম্ভব। তেলের সংকটের মধ্যে মানুষকে পায়ে হেঁটে পালাতে হবে- এটা এক ভয়ংকর কল্পনা।’
সোমবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কিছুক্ষণের জন্য টেলিভিশনটির সম্প্রচার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলেও পরে সেটি পুনরায় চালু হয়। হামলায় কর্মীদের অনেকেই নিহত ও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, গণমাধ্যম কার্যালয়টি ইরান সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছিল।
গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইসরায়েল ইরানে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে। জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে।