ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিশির মনির প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করার ক্ষেত্রে ঢাবি কর্তৃপক্ষ খুবই “সিরিয়াস ও সিনসিয়ার”। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে ছাত্রদের মধ্যে নতুন সংস্কৃতি তৈরি হবে। এজন্যই আমরা এর আয়োজন করেছি।’
‘এরপর একটা রিট পিটিশন করে রুল নেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচনকে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা দ্রুত চেম্বার জজ আদালতে লিখিতভাবে আবেদন করি,’ যোগ করেন তিনি।

আইনজীবী শিশির বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনকে স্থগিত করে যে আদেশ দেওয়া হয়েছিল, চেম্বার জজ আদালত তা স্থগিত করে আদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে ডাকসু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকল না।’
এর আগে, সোমবার বিকালে এক রিট শুনানির আদেশে ডাকসু নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে হাইকোর্ট। একই সাথে, নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন, বাছাই এবং চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া ও ভোটের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চায় আদালত।
হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়।
শুনানিতে ছিলেন হাইকোর্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির এবং রিটকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
এর আগে, গত ৩১ আগস্ট ডাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এসএম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এ দিন বিচারপতি এসকে তাহসিন আলী ও হাবিবুল গণির সমন্বয়ে একটি বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়।
বামজোট মনোনীত ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম ওই রিট দায়ের করেন।
রিটে বলা হয়, এসএম ফরহাদ ৫ আগস্টের আগে ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন, এরপর কীভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে প্রার্থী হলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং তার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ডাকসুর ভোটগ্রহণের কথা।