ইরানের আলোচকেরা হোয়াইট হাউসে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছে ইরান।
ইরানের জাতিসংঘ মিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয়ে আল–জাজিরার খবরে বলা হয়, কোনো ইরানি কর্মকর্তা কখনো হোয়াইট হাউসের দরজায় মাথা নোয়াতে যায়নি।
ট্রাম্পের মিথ্যার চেয়ে আরও ঘৃণ্য বিষয় হলো তার কাপুরুষোচিত হুমকি। তিনি হুমকি দিয়েছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যা করবেন।
ইরান জোর-জবরদস্তিতে আলোচনা করে না, চাপিয়ে দেওয়া শান্তি গ্রহণ করবে না বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের আলোচকেরা তাকে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা ‘হোয়াইট হাউসে আসতে পারে’। যদিও তিনি এটিকে কঠিন বলেই মনে করেন।
বিবিসি জানায়, ট্রাম্প বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় তিনি নিশ্চিত নন, এই সংঘাত ‘কত দিন চলবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘দুটি সহজ শব্দ—নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ। আমি আর সহ্য করব না।’ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তাঁর বিশ্বাস, দেশটি ওই কর্মসূচির পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।
তিনি ইরানিদের পছন্দ করেন এবং নিজের কর্মজীবনে অনেক ইরানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, যোগ করেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার ট্রাম্প ইরানকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুথ সোশ্যালে ইরানকে ঘিরে গতকাল কয়েকটি পোস্ট করেছিলেন ট্রাম্প। এর একটিতে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র জানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ঠিক কোথায় লুকিয়ে আছেন।
ট্রাম্প লিখেছেন,‘খামেনি সহজ লক্ষ্যবস্তু, তবে যে জায়গায় আছেন, নিরাপদ আছেন। আমরা তাকে ‘অপসারণ’(হত্যা!) করব না। অন্তত এখনই না।’