উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ মিশনে থাকা যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহতদের দেখতে এসে নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণের বিষয়টি নতুন করে ভেবে দেখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সব সংস্থা এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলব- এই ধরনের ট্রেনিং কোথায়, কি করলে, কোন চ্যানেল করতে হবে সেটা নতুন করে দেখার প্রয়োজন। ঢাকা শহর ঘনবসতিপূর্ণ। যেকোনো কিছুতে একটা ট্র্যাজেডি।’
মঙ্গলবার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
বিমান দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বিমান নানা কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে। এর মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে ‘‘পাইলট এরর’’ এবং টেকনিক্যাল সমস্যা। যদিও এটি পুরোনো ট্রেনিং জেট, তবে আমার জানা অনুযায়ী এর ভেতরের অ্যাম্বিয়েন্ট ও কম্পোনেন্ট নিয়মিত আপডেট করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে অনুমান করে কিছু বলা উচিত নয়। ব্ল্যাকবক্স অ্যানালাইসিস না হওয়া পর্যন্ত বোঝা যাবে না এটি টেকনিক্যাল এরর, না পাইলট এরর। পাইলট এররের কারণেও অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে।’
বিমানটি চালানো পাইলটের মৃত্যুকে ‘খুব মর্মান্তিক’ উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত বলেন, ‘তিনি মারা গেছেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এখানে গল্প বানানোর কোনও সুযোগ নেই। আমরা প্রত্যাশা করি প্রকৃত কারণ শিগগিরই উদঘাটিত হবে।’
আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলা বিমানবাহিনী ঘাঁটি ‘এ কে খন্দকার’ থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পর বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঘটনাটির খবর পায়। পরবর্তীতে জানা যায়, এফটি-৭ বিজিআই মডেলের চীনের তৈরি যুদ্ধবিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্কুলটির একটি দোতলা ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে।
বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় স্কুল ভবনে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিমানের পাইলটসহ ২৭ জন নিহত হয়েছেন এবং ৭৮ জন আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।