আলোচিত মডেল ও সাবেক ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ মেঘনা আলম জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বের হন।
মেঘনা আলমের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোছা. কাওয়ালিন নাহার।
রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে ৯ এপ্রিল রাতে মেঘনা আলমকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তখন আলোচনায় আসে সৌদি কূটনীতিকের সঙ্গে তার সম্পর্কের টানাপোড়েনের বিষয়। তবে এ বিষয়ে তখন পর্যন্ত আইনী পদক্ষেপের তথ্য জানা যায়নি।
পরদিন রাতে মেঘনা আলমকে আদালতে তোলা হয়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবেদন অনুযায়ী তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটকাদেশ দেয়া হয়। সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। সরকার এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। এমনকি একাধিক উপদেষ্টা মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তখনকার ডিবি প্রধান রেজাউল করিমকে এ ঘটনার পর সরিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে ১৫ এপ্রিল মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। চাঁদাবাজি ও প্রতারণার অভিযোগে করা এ মামলায় মেঘনা আলম ও তার পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো. দেওয়ান সমিরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় এক কূটনীতিকের কাছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবির অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা এ মামলায় মেঘনাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ১৭ এপ্রিল।
পরে আদালতের নির্দেশে ৩০ দিনের আটকাদেশ প্রত্যাহার হলেও মেঘনা আলম মুক্তি পাননি। চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় তাকে কারাগারে রাখা হয়।
২৮ এপ্রিল মেঘনা আলমের জামিন চেয়ে আদালতে করা আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মো. সানাউল্লাহ। সেই সুবাদে আইনী প্রক্রিয়াশেষে মঙ্গলবার মুক্তি পান মেঘনা আলম।