জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা ড. আনোয়ারা বেগমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। জুলাই আন্দোলনের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা হয়।
বৃহস্পতিবার তাকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আসামিপক্ষে তার আইনজীবী ওবায়দুল ইসলাম জামিন চেয়ে আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ জানায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লার চোখে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আনোয়ারা বেগম।
অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিপরীত পাশে স্টার হোটেলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এ সময় আসামিরা ছাত্রজনতার ওপর পরিকল্পিত হামলা ও মারধর করে। এ ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা চোখে গুলিবিদ্ধ হন। পরে দীর্ঘদিন ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আহত সুজন মোল্লা নিজেই বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের ৯৪ জনসহ ১৯৩ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলার ৪৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি আনোয়ারা বেগম।