ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার এ বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রির অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকটি আউটলেটসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর হয়। বাটার শো-রুম, কেএফসি’র আউটলেট ছাড়াও কোকাকোলা-পেপসি বিক্রির দোকানে হামলা করেছে বিক্ষুদ্ধরা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়– কক্সবাজার, সিলেট ও বরিশালে ফাস্টফুড রেস্তোরাঁ কেএফসি’র আউটলেট ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। সিলেটে ও বগুড়ায় বাটার শোরুমে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল থেকে হঠাৎ সুগন্ধা এলাকায় কেএফসি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এ ঘটনায় নিচতলায় থাকা পিৎজা হাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কক্সবাজার পর্যটন জোনে কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন থাকায় সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। এছাড়া ইসরায়েলি পণ্য রাখার অভিযোগে পানসি রেস্টুরেন্ট ও মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে হামলা করেছে আন্দোলনকারীরা। তখন কাঁচ লেগে কয়েকজন পর্যটক আহত হন। কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে হলিডে মোড় ঘুরে লাবণী দিয়ে কলাতলী যায়।
কোমল পানীয় কোকাকোলা বিক্রির অভিযোগে সিলেট নগরীর মিরবক্সটুলায় কেএফসিতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। একটি মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা কেএফসির ভেতর থেকে বিভিন্ন কোমল পানীয় রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে। সিলেটের দরগা গেট এলাকায় বাটার শোরুমে হামলা চালিয়েছে একই মিছিলের লোকজন।
সিলেট ছাড়াও বগুড়া শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় বাটার শো-রুমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও কাঁচ ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা। মিছিলে ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
সোমবার সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এছাড়া নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন ইসলামিক দল ও সামাজিক সংগঠন।