রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে নিয়োজিত যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরও এক শিক্ষার্থী সাহিল ফারাবি আয়ান (১৪) মারা গেছে।
রোববার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, আয়ানের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তিনি ক্রিটিক্যাল অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এ ঘটনায় ইনস্টিটিউটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জন। বর্তমানে ভর্তি আছেন ৩৩ জন, যাদের মধ্যে তিনজন আইসিইউতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
সাহিল ফারাবি আয়ানের চাচা ডা. মোস্তফা কামাল আরেফিন জানান, আয়ান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা মোহাম্মদ আলী মাসুদ। পরিবারসহ তারা মিরপুরের মধ্য মনিপুর এলাকায় বসবাস করেন।
এ ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত মোট ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২১ জুলাই দুপুর ১টার কিছু পরে বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক বিমান দুর্ঘটনা, যেখানে বেশিরভাগ নিহতই শিশু।